ময়মনসিংহ প্রতিনিধি | সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
ময়মনসিংহ মহানগরীর ৫নং ওয়ার্ডের গোলকীবাড়ি এলাকায় জানাযার নামাজের স্থান বহাল রাখার দাবিতে স্থানীয় এলাকাবাসী স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক বরাবর এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়। জানাযার স্থান সংরক্ষণের দাবিতে ৮২০ জন বাসিন্দার স্বাক্ষরিত ৩৩টি ফর্দ সংযুক্ত করে স্মারকলিপিটি জমা দেওয়া হয়।
সম্প্রতি গোলকীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ফাঁকা স্থানে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় নগর ভবন। এই সিদ্ধান্তে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এর প্রতিবাদে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর এবং পরবর্তীতে রবিবার জোহরের নামাজের পর গোলকীবাড়ি এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এলাকাবাসীরা ওই সমাবেশে সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে জানাযার ঐতিহ্যবাহী স্থানটি অক্ষুণ্ণ রাখার দাবি জানান।
🕌 জানাযার ঐতিহ্যবাহী স্থান
এলাকাবাসীর দাবি, গোলকীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠসংলগ্ন ফাঁকা স্থানটি বিগত কয়েক যুগ ধরে গোলকীবাড়ি, কলেজ রোড, মোহাম্মদ আলী রোডসহ আশপাশের এলাকার মৃত ব্যক্তিদের জানাযার নির্ধারিত স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
তারা জানান, এটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় জানাযার জন্য বিকল্প কোনো খোলা স্থান নেই। ফলে এই জায়গাটি হারিয়ে গেলে স্থানীয় মুসল্লি ও পরিবারের সদস্যদের বড় ধরনের অসুবিধায় পড়তে হবে।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিতরা
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন—
জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল আজিজ টুটুল,
গোলকীবাড়ি মসজিদের সেক্রেটারি আলহাজ্জ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ,
এডভোকেট রুহুল আমিন,
এডভোকেট মোকাম্মেল হক শাকিল,
এডভোকেট সৈয়দ সাদ উদ্দিন প্রিন্স,
নেছার আহমদ সেলিম,
সাংবাদিক আদিলুজ্জামান আদিল এবং
মুফতি জুনাইদ আহমাদ।
💬 এলাকাবাসীর বক্তব্য
স্মারকলিপি প্রদানের পর পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল আজিজ টুটুল বলেন,
“জানাযার জায়গাটি শুধু একটি খালি স্থান নয়—এটি এলাকাবাসীর আবেগ ও ধর্মীয় অনুভূতির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। গত কয়েক যুগ ধরে এখানেই শতাধিক মানুষের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমি নিজেও বহু জানাযা এই স্থানে পরিচালনা করেছি।”
তিনি আরও বলেন,
“ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়টি এখানে না করে পাশের নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঝখানে স্থাপন করা হলে, প্রশাসনিক কাজও চলবে এবং জানাযার ঐতিহ্যবাহী স্থানটিও সংরক্ষিত থাকবে।”
গোলকীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে জানাযার নামাজের ঐতিহ্যবাহী স্থানটি আগের মতোই বহাল রাখতে চান এলাকাবাসী।











