সৌদি আরব ৫০ বছরের পুরোনো কাফালা (পৃষ্ঠপোষকতা) ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করেছে। এর ফলে দেশটিতে কর্মরত প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ বিদেশি শ্রমিক সরাসরি উপকৃত হবেন।
‘‘স্পন্সরশিপ’ শব্দের অর্থ আরবিতে কাফালা’। ১৯৫০-এর দশকে সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় দেশগুলোতে চালু হওয়া এই ব্যবস্থায় একজন বিদেশি শ্রমিকের আইনি মর্যাদা ও স্বাধীনতা নির্ভর করত তার নিয়োগকর্তা বা ‘কফিল’-এর ওপর। ফলে কর্মীরা চাকরি পরিবর্তন, দেশত্যাগ বা আইনি সুরক্ষা পাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিয়োগকর্তার অনুমতির বাইরে কিছুই করতে পারতেন না।
নতুন শ্রম কাঠামো অনুযায়ী, সৌদি আরব এখন চুক্তিভিত্তিক কর্মসংস্থান মডেল চালু করেছে। সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানায়, এই পরিবর্তনের ফলে শ্রমিকরা তাদের বর্তমান স্পনসরের অনুমোদন ছাড়াই চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন, এক্সিট ভিসা ছাড়াই দেশ ত্যাগ করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষা পাবেন।
বর্তমানে সৌদি আরবে প্রায় ১ কোটি ৩৪ লাখ বিদেশি শ্রমিক কাজ করছেন, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪২ শতাংশ। এদের মধ্যে বড় একটি অংশই বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিক।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই সিদ্ধান্তকে ‘সৌদি শ্রম ইতিহাসের নতুন অধ্যায়’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তবে তারা সতর্ক করে বলেছে, প্রকৃত পরিবর্তন নিশ্চিত করতে হলে সংস্কারের কার্যকর বাস্তবায়ন ও তদারকি আরও জোরদার করতে হবে।












