সিরিয়ার দামেস্কের একটি বিমানঘাঁটিতে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সূত্রে জানা গেছে, এটি সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের অংশ।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গত বছরের ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সিরিয়ার পুনঃসান্নিধ্যের ইঙ্গিত।
ঘাঁটির ব্যবহার ও পরিকল্পনা
- বিমানঘাঁটিটি দক্ষিণ সিরিয়ার কাছে অবস্থিত।
- মূলত মার্কিন নেতৃত্বাধীন চুক্তির আওতায় ডিমিলিটারাইজড জোন পর্যবেক্ষণ ও লজিস্টিক/মানবিক কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার হবে।
- স্থানীয় স্থাপনা, রানওয়ে ও অন্যান্য অবকাঠামোর পরিদর্শন ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
- ঘাঁটির সার্বভৌমত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে সিরিয়ার হাতে থাকবে।
মার্কিন প্রশাসনের মন্তব্য
পেন্টাগন ও সিরীয় কর্তৃপক্ষ এখনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। তবে একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন,
“আইএসআইএসের বিরুদ্ধে কার্যকর লড়াই করার জন্য সিরিয়ায় আমাদের অবস্থান নিয়মিত মূল্যায়ন করা হচ্ছে। বাহিনী কোথায় অবস্থান করবে তা আমরা প্রকাশ করি না।”
গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সংযোগ
- সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন, যা কোনো সিরীয় রাষ্ট্রপ্রধানের হোয়াইট হাউস সফরের প্রথম উদাহরণ।
- তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
- উদ্যোগটি লেবানন ও ইসরায়েলের পর্যবেক্ষণ ঘাঁটির আদলে তৈরি হচ্ছে এবং সিরিয়া শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন আইসিস-বিরোধী জোটে যোগ দিতে যাচ্ছে।
- বছরের শেষ নাগাদ ইসরায়েল-সিরিয়া শান্তি চুক্তি চূড়ান্ত করতে ওয়াশিংটন জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।











