মাত্র আট দিনের মধ্যে নিখুত তদন্তের মাধ্যমে ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে উদ্ধার হওয়া ভাসমান লাশের পরিচয় শনাক্ত করে ঘটনায় জড়িত দুই আসামিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ। নিহতের নাম আবু সাঈদ; তিনি অষ্টধার ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন।
ঘটনাচক্র ও তদন্ত:
২২ অক্টোবর সকালে মন্নাছ উপজেলার গুদারাঘাটের পাশে নদীতে ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী ৯৯৯-এ খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরে সিআইডি ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে লাশের পরিচয় নিশ্চিত হয়।
পুলিশ জানায়, পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে একই এলাকার মোঃ আবু রায়হান (২৮) ও মোহাম্মদ ইয়াসিন (২৫) নামের দুই যুবক আবু সাঈদকে হত্যা করে তার পেট ভাঙা ও ভুঁড়ি বের করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়।
গ্রেপ্তার ও মামলা:
৩০ অক্টোবর দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহতের ভাই জসিম উদ্দিন কোতোয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন (সিসি নং-১০৪৭; জিডি নং-২৫৭০)। গ্রেপ্তারের পর তারা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
পুলিশি কর্মকাণ্ড ও উক্তি:
জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুনের তত্ত্বাবধানে কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শিবিরুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্স তদন্ত পরিচালনা করেন।
ওসি বলেন:
“জনগণের সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই আমরা রাত-দিন কঠোর পরিশ্রম করছি। অপরাধ দমন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় পুলিশ সবসময় সজাগ। তদন্ত চলমান; আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”
স্থানীয় প্রতিক্রিয়া:
স্থানীয়রা শোক, ক্ষোভ ও আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন। তারা দাবী করেছেন—ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক এবং ভবিষ্যতে কেউ এমন নির্মমতা পুনরায় না করতে পারে।
আরিফ রববানী, ময়মনসিংহ










