ঢাকা, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ঃ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আবেগঘন কণ্ঠে নিজে’র দায় স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন,
“আমার মাধ্যমে যদি সত্য উদঘাটন হয়, তাহলে অন্তত বাকি জীবনে অপরাধবোধ থেকে মুক্তি পাব।”
আদালতে আবেগঘন স্বীকারোক্তি
মঙ্গলবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালে’র কার্যক্রমে দাঁড়িয়ে তিনি স্বীকার করেন, তার দায়িত্বকালে সংঘটিত কিছু ঘটনা’র সত্য আজও অজানা থেকে গেছে। সেই সত্য প্রকাশে তিনি নিজে’র ভূমিকা রাখতে চান। তার বক্তব্য দেওয়া’র সময় আদালত কক্ষে নীরবতা নেমে আসে এবং তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
শর্তসাপেক্ষ রাজসাক্ষী
এর আগে ট্রাইব্যুনাল তাকে শর্তসাপেক্ষে রাজসাক্ষী হিসেবে ক্ষমা দিয়েছিল। শর্ত ছিল—তিনি যদি খোলাখুলি সত্য প্রকাশ করেন এবং সংশ্লিষ্ট প্রমাণ আদালতে’র সামনে হাজির করেন, তবে তাকে দায়মুক্তি দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন—
“আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে সত্য গোপন করব না। ইতিহাসের কাছে দায়ী হতে চাই না।”
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গ
সাবেক আইজিপি’র এই অনুশোচনা মূলত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান চলাকালে ঘটে যাওয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’র অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও নানা বিতর্কিত ঘটনা’র সঙ্গে সম্পৃক্ত। অভিযোগ রয়েছে, তৎকালীন প্রশাসনিক ব্যর্থতা’র কারণে বহু প্রাণহানি ও মানবাধিকা’র লঙ্ঘন ঘটেছিল।
ট্রাইব্যুনালের পর্যবেক্ষণ
আদালত এ সময় মন্তব্য করে, জাতি’র কাছে সত্য তুলে ধরা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শিক্ষা দেওয়াই এই বিচার প্রক্রিয়া’র মূল লক্ষ্য। ট্রাইব্যুনাল আশা প্রকাশ করে, সাবেক আইজিপি’র এই সাক্ষ্য ও অনুশোচনা বৃহত্তর বিচারে’র জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে।
📝 বিশ্লেষণ
- গুরুত্ব: এ ধরনের স্বীকারোক্তি সাধারণত বিরল, বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কারও কাছ থেকে।
- ইঙ্গিত: সত্য উন্মোচনের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের পথ সুগম হতে পারে এবং ইতিহাসে নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি হতে পারে।
- চ্যালেঞ্জ: এখন আদালতে’র দায়িত্ব—সাবেক আইজিপি’র সাক্ষ্য কতটা প্রমাণিত এবং গ্রহণযোগ্য হয় তা যাচাই করা।











