আন্তর্জাতিক ডেস্ক| ১০ অক্টোবর ২০২৫
২০২৫ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার রাজনীতিক ও গণতন্ত্র আন্দোলনের নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায় নরওয়ের নোবেল কমিটি তার নাম ঘোষণা করে। কমিটি জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং শান্তিপূর্ণভাবে একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে রূপান্তরের লক্ষ্যে মাচাদোর নিরলস সংগ্রামের জন্য তাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
🔹 গণতন্ত্রের পক্ষে শান্তির লড়াই
মারিয়া কোরিনা মাচাদো দীর্ঘদিন ধরে ভেনেজুয়েলার রাজনৈতিক দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির জন্য তার প্রচেষ্টা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে।
🔹 শান্তি পুরস্কার: সম্মান আর গুরুত্ব
শান্তিতে নোবেল পুরস্কারকে নোবেল সিরিজের সবচেয়ে সম্মানজনক স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এখন পর্যন্ত ৩১টি সংস্থা এই পুরস্কার পেয়েছে।
২০০৬ সালে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৪ সালে পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই মাত্র ১৭ বছর বয়সে শান্তিতে নোবেল পেয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন।
গত বছর (২০২৪) এই পুরস্কার পেয়েছিল জাপানের সংগঠন নিহন হিদানকিও, যারা পারমাণবিক অস্ত্রবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় এবং পারমাণবিক বোমা হামলার বেঁচে যাওয়া মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করে।
🔹 ট্রাম্পের হতাশা, সমালোচনায় ওবামা
নোবেল ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “ওবামা নোবেল পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি জানতেন না কেন। ওবামা আমাদের দেশ ধ্বংস করেছেন।”
তিনি দাবি করেন, নিজে আটটি যুদ্ধ বন্ধ করেছেন এবং সেজন্যই তার নোবেল প্রাপ্য ছিল। তবে নোবেল কমিটির ঘোষণায় তার সেই আশা পূরণ হয়নি।
🔹 মনোনয়ন ছিল ৩৩৮টি
২০২৫ সালের শান্তি পুরস্কারের জন্য এবার মোট ৩৩৮টি মনোনয়ন জমা পড়ে, যার মধ্যে ছিল ২৪৪ জন ব্যক্তি এবং ৯৪টি সংস্থা। মনোনয়ন তালিকায় ট্রাম্প ছাড়াও ছিল সুদানের ইমারজেন্সি রেসপন্স রুমস এবং কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস—যারা যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে মানবাধিকার ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় কাজ করে আসছে।
🔹 পুরস্কারের মূল্য
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীরা পান একটি সোনার পদক, একটি ডিপ্লোমা এবং ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (প্রায় ১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) অর্থমূল্য।











