নিজস্ব প্রতিবেদক | মুন্সীগঞ্জ | প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২৫, রোববার
মুন্সীগঞ্জে হত্যা মামলার দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ খালেদা ইয়াসমিন ঊর্মি এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—
নূর মোহাম্মদ খান ওরফে নুরু এবং মো. আইয়ুব খান।
তারা সিরাজদিখান উপজেলার উত্তর বাসাইল গ্রামের বাসিন্দা।
রায়ের বিবরণ
আদালত আসামি নূর মোহাম্মদ খানকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
একইভাবে মো. আইয়ুব খানকেও যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায় ঘোষণার পর আদালত তাদের হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত প্রাঙ্গণে মারধরের অভিযোগ
রায় ঘোষণার পরপরই আদালত ভবনের বারান্দায় আসামি নুরু ও তার বোন বাপ্পি নিহতের ছেলে শাওন খানকে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিহতের ছেলে শাওন খান অভিযোগ করে বলেন,
“আসামিরা পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় আমাকে আদালতের বারান্দায় মারধর করেছে। আমরা ন্যায়বিচার চাই।”
ঘটনার পটভূমি
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে
২০১৭ সালের ৪ জুন দুপুরে সিরাজদিখান উপজেলার রাঙামালিয়া গ্রামের আ. ছামাদ বাজারে যাওয়ার পথে
আসামিরা তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
নিহত আ. ছামাদ স্থানীয় মৃত হাছেন উদ্দিনের ছেলে।
ওই ঘটনায় নিহতের ছেলে আরিফ হোসেন বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় মামলা করেন।
মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও প্রমাণ যাচাই শেষে আদালত আজ দুই আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রতিক্রিয়া
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নাসিম আখতার বলেন,
“আদালত ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও উপস্থাপিত প্রমাণের ভিত্তিতে এই রায় দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট।”
বাদী আরিফ হোসেন বলেন,
“আমার বাবাকে ওরা কুপিয়ে খুন করেছে। আজ আদালত দুইজনকে যাবজ্জীবন দিয়েছে, কিন্তু আমি তাদের ফাঁসি চাই।”
সূত্র: আদালত রায়পত্র, রাষ্ট্রপক্ষ, স্থানীয় সাংবাদিক










