ত্রিশাল (ময়মনসিংহ), প্রতিনিধি: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ১৯ জন শিক্ষক এবং ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় প্রশাসনিক ব্যবস্থা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শোকজের পেছনে কী?
গণ-অভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্বে ঘটে যাওয়া অনিয়ম-দুর্নীতির অনুসন্ধানে একটি সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত শেষে পাওয়া প্রাথমিক প্রতিবেদনে একাডেমিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম এবং আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা মেলে। এরপরই অভিযুক্ত ৩৯ জনকে শোকজ করা হয়।
কারা তদন্ত করছেন?
তিনটি তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন সিন্ডিকেট সদস্য ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, সিন্ডিকেট সদস্য এম জাকির হোসেন খান এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন মজুমদার।
তারা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন বিভাগ ও প্রশাসনিক দপ্তর ঘুরে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন এবং অভিযোগের ব্যাপারে যাচাই-বাছাই করছেন।
কী হবে এখন?
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শোকজের জবাব দাখিল করবেন। পরে তদন্ত কমিটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন সিন্ডিকেটে উপস্থাপন করবে। সেই প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জিরো টলারেন্স নীতি
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। শোকজের এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং নৈতিকতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ একদিকে যেমন ভবিষ্যতে অনিয়ম রোধে ভূমিকা রাখবে, তেমনি শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ আরও উন্নত ও সুশৃঙ্খল হবে।











