প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাত নিরসনে নতুন একটি যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে আরব ও মুসলিম বিশ্বের নেতাদের সামনে তিনি এই ২১ দফা পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
বৈঠকে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফসহ হোয়াইট হাউসের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। পরদিন বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উইটকফ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “গাজা পরিস্থিতি নিয়ে আমরা একটি ফলপ্রসূ আলোচনা করেছি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২১ দফা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে শুধু গাজায় নয়, পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।”
প্রকাশিত কয়েকটি মূল প্রস্তাবনা
যদিও পুরো ২১ দফা পরিকল্পনা এখনো প্রকাশ করা হয়নি, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ইতোমধ্যে সংবাদমাধ্যমে এসেছে:
- গাজায় বন্দি থাকা সব জিম্মির দ্রুত মুক্তি
- গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা
- হামাস এবং এর প্রভাবমুক্ত গাজা প্রশাসন গঠন
- ইসরায়েলি সেনাদের পর্যায়ক্রমে গাজা থেকে প্রত্যাহার
- পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখল বন্ধ করা
- জেরুজালেমের বর্তমান স্থিতাবস্থা বজায় রাখা
- গাজায় অবাধ মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করা
- ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি
আরব নেতাদের প্রতিক্রিয়া
সিএনএন জানিয়েছে, বৈঠকে অংশগ্রহণকারী আরব ও মুসলিম নেতারা ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রতি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। তারা নিজস্ব কিছু প্রস্তাবও দিয়েছেন, যার মধ্যে অন্যতম:
- ইসরায়েলের পশ্চিম তীর দখল বন্ধ
- গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবাহ নির্বিঘ্ন রাখা
- জেরুজালেমে বিদ্যমান অবস্থান বজায় রাখা
- যুদ্ধের স্থায়ী অবসান নিশ্চিত করা
একজন মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক কূটনীতিক সিএনএনকে বলেন, “এটি ছিল এক অসাধারণ এবং কার্যকর বৈঠক। আমরা বিশ্বাস করি, একটি স্থায়ী সমাধানের পথে এই পরিকল্পনা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট
এই বৈঠকের সময়েই জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয় ‘ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি’ বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন। যার আয়োজক ছিল ফ্রান্স ও সৌদি আরব। এই সম্মেলনের আবহেই ট্রাম্পের পক্ষ থেকে এই শান্তি উদ্যোগ আসে।
বিশ্লেষণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের এই উদ্যোগ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। তবে এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নির্ভর করবে ইসরায়েল, ফিলিস্তিনি প্রশাসন, হামাস ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর প্রতিক্রিয়ার ওপর।











