নিউইয়র্ক, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫: বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীদের আরও ঘন ঘন সফরের আহ্বান জানিয়েছেন।
মানবাধিকার কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক
সোমবার নিউইয়র্কের একটি হোটেলে রবার্ট এফ. কেনেডি মানবাধিকার সংস্থার সভাপতি কেরি কেনেডির নেতৃত্বে শীর্ষ মানবাধিকার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক করেন ইউনূস। বৈঠকে বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারে নিয়োজিত ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনাদের নিয়মিত বাংলাদেশ সফর করা। প্রত্যেকবার আপনারা এলে ভুলে যাওয়া বিষয়গুলো নতুন করে আলোচনায় আসে। শেষ পর্যন্ত আপনারাই জনগণের কণ্ঠস্বর।”
সংস্কার ও মানবাধিকার উদ্যোগ
ইউনূস জানান, জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মিশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জোরপূর্বক গুমের অভিযোগ তদন্তে কমিশন গঠন করা হয়েছে, যা নিয়মিত আপডেট দিচ্ছে।
এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কারের জন্য ১১টি কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংস্কার প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করছে। আগামী অক্টোবরের মধ্যে সাংবিধানিক সংস্কারের খসড়া রাজনৈতিক দলগুলো স্বাক্ষর করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের অঙ্গীকার
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা চাই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হোক অবাধ ও শান্তিপূর্ণ—এমন নির্বাচন যা বাংলাদেশে আগে কখনো হয়নি। এবারের ভোটে বিশেষভাবে নারীদের অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা হবে এবং ভোটারদের ব্যাপকভাবে সচেতন করা হবে।”
চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকির আশঙ্কা
তিনি সতর্ক করে বলেন, কিছু আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। বিপুল অর্থ ঢালা হচ্ছে এবং দেশের ভেতরে-বাইরে কিছু সংগঠিত শক্তি এ থেকে লাভবান হচ্ছে।
বৈঠকে উপস্থিত প্রতিনিধিরা
- কেরি কেনেডি – RFK Human Rights
- তাসনিম জারা – জাতীয় নাগরিক পার্টি
- ক্যাথরিন কুপার – RFK Human Rights
- মনদীপ তিওয়ানা – সিভিকাস
- ম্যাথিউ স্মিথ – ফোর্টিফাই রাইটস
- সাবহানাজ রাশিদ দিয়া – টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট
- ক্যারোলিন ন্যাশ – অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
- মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান – ওহাইও বিশ্ববিদ্যালয়
- জেসেলিনা রানা – জাতিসংঘ উপদেষ্টা, সিভিকাস











