আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সুতিয়া নিউজ
ব্রিটিশ-আমেরিকান সাংবাদিক মেহেদি হাসানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন—নির্বাচন আয়োজনে দেরি নিয়ে নানা মত রয়েছে। কেউ দ্রুত নির্বাচন দাবি করলেও, অনেকে আবার বলছেন, “আপনি থাকুন ৫ বছর, ১০ বছর, এমনকি ৫০ বছরও। নির্বাচনের দরকার কী?”
সাক্ষাৎকারে আলোচনার প্রেক্ষাপট
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগ দেওয়ার ফাঁকে ড. ইউনূস আলজাজিরার টক শো হেড টু হেড-এর উপস্থাপক মেহেদি হাসানকে সাক্ষাৎকার দেন। জাস্টিস, ট্রুথ অ্যান্ড অপারচুনিটি (JTO)-র প্ল্যাটফর্মে সোমবার রাতে তিন মিনিটের একটি ক্লিপ প্রচারিত হয়।
নির্বাচন কেন দেরি হচ্ছে?
মেহেদি হাসান প্রশ্ন করেন—অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এক বছর ধরে ক্ষমতায়, অথচ নির্বাচন এখনও হয়নি। নেপালের মতো দেশে ছয় মাসেই নির্বাচন হয়, বাংলাদেশে কেন ১৮ মাস লাগছে?
জবাবে ড. ইউনূস বলেন—
“আমরা অন্তর্বর্তী সরকার। কতদিন থাকব তা কেউ নির্ধারণ করে দেয়নি। আমাদের তিনটি কাজ আছে—সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। শুধু নির্বাচন করলে আগের সমস্যাই আবার ঘটবে।”
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন এগিয়ে আনা হয়েছে রমজানের কারণে।
গণতন্ত্র নাকি সুশাসন?
ড. ইউনূস বলেন—
“যারা বলেন নির্বাচনের দরকার নেই, তারা গণতন্ত্র নয়, সুশাসনের কথা বলেন। তারা দুর্নীতিমুক্ত শাসন চান। নির্বাচনের পর বিশৃঙ্খলা দেখতে চান না।”
তিনি যোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে “ফ্যাসিবাদের শিকড় উপড়ে ফেলা” এবং নতুন কাঠামো গড়ে তোলা, যাতে অতীতের মতো শাসন ফিরে না আসে।
অন্যান্য প্রসঙ্গ
সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস রোহিঙ্গা সংকট, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়েও মন্তব্য করেন।
উপসংহার
মধ্যপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক ইস্যুর পাশাপাশি বাংলাদেশের নির্বাচনী সময়কাল নিয়েও বিশ্বমিডিয়ার নজর বাড়ছে। ড. ইউনূসের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে—অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে শুধু নির্বাচন নয়, সংস্কার এজেন্ডাই অগ্রাধিকার। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘ বিলম্ব জনগণের অস্থিরতা বাড়াতে পারে।











