বাংলাদেশ সেনাবাহিনী’র প্রধান জেনারেল ওয়াকা-উজ-জামান সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসে’র সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারে’র কার্যক্রম সফল করতে সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে। তার এই বক্তব্যকে অনেকেই শুধু আনুষ্ঠানিক প্রতিশ্রুতি হিসেবে নয়, বরং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হিসেবে দেখছেন।
ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশে’র রাজনৈতিক অস্থিরতা’র সময়ে সেনাবাহিনী’র ভূমিকা প্রায়ই আলোচনায় থাকে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে সেনাপ্রধানে’র আশ্বাস সাধারণ মানুষে’র কাছে স্থিতিশীলতা’র প্রত্যাশা তৈরি করেছে।
বিশেষজ্ঞদে’র মতে, অন্তর্বর্তী সরকারে’র প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন। এ ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর কার্যকর ও নিরপেক্ষ ভূমিকা রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে পারে।
কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা
বিশ্লেষকদে’র মতে, শুধু আশ্বাস নয়—সমন্বিত পদক্ষেপই স্থায়ী স্থিতিশীলতা’র মূল ভিত্তি।
যে বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন:
- রাজনৈতিক দলে’র মধ্যে আলোচনা’র পরিবেশ তৈরি
- গণতান্ত্রিক আচরণ ও নীতিমালা অনুসরণ
- প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করা
সেনাপ্রধানে’র বক্তব্য এই প্রক্রিয়া’র একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হলেও, ভবিষ্যতে’র পথচলায় অন্তর্বর্তী সরকারে’র গ্রহণ করা বাস্তব উদ্যোগই হবে মূল নির্ধারক।
আগামী দিনের দিকনির্দেশ
এই ঘোষণাকে অনেক পর্যবেক্ষক “আস্থার সেতুবন্ধন” বলে মনে করছেন। এখন নজর থাকবে—এই প্রতিশ্রুতি কীভাবে বাস্তব পদক্ষেপে রূপ নেয় এবং তা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কতটা প্রভাব ফেলতে পারে।











