ঢাকা | ১২ অক্টোবর ২০২৫ | বিশেষ সংবাদদাতা
‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিএনপি, জামায়াত এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার শেষ দিনেও গণভোটের সময়সূচি নিয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছানো যায়নি।
তবে কমিশনের সূত্র বলছে, গণভোটের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নীতিগত ঐক্য তৈরি হলেও, কবে তা হবে, তা নিয়ে রয়েছে তীব্র মতপার্থক্য।
বিএনপি চায় নির্বাচনের দিনেই গণভোট
রোববার (১২ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনে কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “নির্বাচনের দিন গণভোটই সবচেয়ে যৌক্তিক। ভোটারের উপস্থিতি বেশি থাকবে, খরচও কম হবে।”
তবে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগে সাড়া দেননি।
জামায়াত ও এনসিপি চায় নির্বাচনের আগেই গণভোট
গত শনিবার (১১ অক্টোবর) জামায়াতের নেতারা কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে জানান, নির্বাচনের দিন গণভোট হলে তা গুরুত্ব হারাবে এবং সহিংসতার ঝুঁকি থাকবে।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। নির্বাচনের আগেই গণভোট হওয়া উচিত।”
এনসিপিও একই অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে। দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, “জুলাই সনদের মীমাংসা একটি প্রশ্নেই হওয়া উচিত। আপত্তির বিষয় (নোট অব ডিসেন্ট) রাখলে জনগণ বিভ্রান্ত হবে।”
তবে তারা গণভোটের সময়সূচি নিয়ে নমনীয়তা দেখাতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি “আপত্তির বিষয়টি” সনদ থেকে বাদ দেওয়া হয়।
আলোচনার পরবর্তী ধাপ
ঐকমত্য কমিশনের এক সদস্য জানিয়েছেন, গণভোটের সময় নির্ধারণ করবে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বুধবার বা বৃহস্পতিবার কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ করবেন।
কমিশনের মেয়াদ ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ১৭ অক্টোবর
কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ জানান, “জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হবে। আগামী ১৭ অক্টোবর (শুক্রবার) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এটি অনুষ্ঠিত হবে।”
তবে আগে জানানো হয়েছিল, অনুষ্ঠানটি ১৫ অক্টোবর হবে।
সারসংক্ষেপ:
| বিষয় | অবস্থান |
|---|---|
| বিএনপি | নির্বাচনের দিন গণভোট |
| জামায়াত ও এনসিপি | নির্বাচনের আগেই গণভোট |
| কমিশনের সিদ্ধান্ত | এখনো চূড়ান্ত হয়নি; প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা চলমান |
| অনুষ্ঠান | জুলাই সনদ স্বাক্ষর: ১৭ অক্টোবর |










