আঞ্চলিক সংবাদ | সুতিয়া নিউজ:
ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজাকে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে উদযাপনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ব্যতিক্রমী ভূমিকা পালন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল ইসলাম প্রিন্স। পূজার শুরু থেকে প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত তিনি সরেজমিন মনিটরিং করে সমস্যার সমাধান করেছেন, যা স্থানীয়দের আস্থা অর্জন করেছে।
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে শারদীয় দুর্গাপূজার সার্বিক নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে অবিরাম তদারকি করেছেন ইউএনও আরিফুল ইসলাম প্রিন্স। প্রতিমা তৈরির সময় থেকে শুরু করে বিজয়া দশমীর বিসর্জন পর্যন্ত তিনি নিজে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন এবং নিরাপত্তা বা ব্যবস্থাপনায় কোনো ঘাটতি থাকলে তাৎক্ষণিক সমাধান করেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এবারের পূজা উদযাপন অন্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ হয়েছে। এমন উদ্যোগে ইউএনও আরিফুল ইসলাম প্রিন্সকে অনেকেই পূজা মণ্ডপের “অভিভাবক” বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তার সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা, দাপুনিয়া ইউনিয়নের প্রশাসক উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, ভাবখালী ইউনিয়নের প্রশাসক উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসমা উল হুসনা ফাতেমা জান্নাতুল ফেরদৌস, কুষ্টিয়া ইউনিয়নের প্রশাসক উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ, চরনিলক্ষিয়া ইউনিয়নের প্রশাসক উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তারিক আজিজসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও বিভিন্ন পেশাজীবী শ্রেণির ব্যক্তিবর্গ।
উপজেলার ৪০টি পূজা মণ্ডপে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন ইউএনও আরিফুল ইসলাম প্রিন্স। যেকোনো প্রয়োজনে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে সমস্যার সমাধান করেছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক বলেন, “সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজনকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সময়মতো চাউল ও অন্যান্য সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী সবসময় মনিটরিং করা হয়েছে যাতে কোনো দুষ্কৃতিকারী সমস্যা সৃষ্টি করতে না পারে।”
স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, এবারের দুর্গাপূজায় প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করায় কোনো সমস্যা ছাড়াই পূজা উদযাপন সম্পন্ন হয়েছে।
ইউএনও আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, “শারদীয় দুর্গোৎসবে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শান্তিপূর্ণভাবে পূজা করতে পারে সেটাই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য। উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ৪০টি পূজা উদযাপন সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সকলকে ধন্যবাদ জানাই।”
আরিফ রববানী | সুতিয়া নিউজ










