রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি | সুতিয়া নিউজ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত ঘিরে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির রাকসু ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে জোহা চত্বরে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে হাজারো শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল অভিযোগ করেন, “নির্বাচন কমিশনার একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যেন একটি নির্দিষ্ট দলকে সুবিধা দেওয়া হয়।”
অন্যদিকে কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম জানান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির কারণে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হয়নি। এজন্য নির্বাচন পিছিয়ে ১৬ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সেই তারিখেও ভোটগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে রাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী গণমাধ্যমে দাবি করেন, “আজকে নির্বাচন কমিশনার আমাদেরকে ফোন করে বলে যে, বাবা আমাদের বাঁচাও, ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসীরা আমাদের এখানে (কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়) পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারে।”
তবে ছাত্রদল সভাপতির এই বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রাকসুর নির্বাচন কমিশন। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন জানায়, “রাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে গৃহীত সিদ্ধান্ত সরাসরি শিক্ষার্থী বা মিডিয়ার সামনে ঘোষণা করার প্রয়োজন হয়নি। এ কারণে কোনো সংগঠন কিংবা শিক্ষার্থী কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাননি। কিন্তু এরই মধ্যে ছাত্রদল সভাপতির একটি বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তিনি দাবি করেন যে, ‘নির্বাচন কমিশনার একটি সংগঠনের হামলা ঠেকাতে ছাত্রদলকে ডেকেছেন।’”
কমিশনের দাবি, ছাত্রদল সভাপতির এই বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য। তারা এ ধরনের মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে ভবিষ্যতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
রাকসু নির্বাচন ঘিরে প্রশাসন, রাজনৈতিক সংগঠন এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হওয়া টানাপোড়েন ক্রমশ বাড়ছে। শিক্ষার্থীরা এখন তাকিয়ে আছে ১৬ অক্টোবরের দিকে—সেই তারিখে অবশেষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে কি না, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।












