ঢাকা | ১২ অক্টোবর ২০২৫
মধ্যরাতে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষের ইট-পাটকেল নিক্ষেপে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
সংঘর্ষ শুরু হয় রাত ১২টার পর
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত প্রায় ১২টা ৩০ মিনিটে প্রথমে ঢাকা কলেজের কিছু শিক্ষার্থী নিউ মার্কেট এলাকায় অবস্থান নেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী সেখানে উপস্থিত হলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়, যা কিছুক্ষণের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ
উভয়পক্ষ থেকে একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে, এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সংঘর্ষের কারণে নিউ মার্কেট, নীলক্ষেত, আজিমপুর ও আশপাশের এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করে।
রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ এবং যানবাহনের চালকরাও নিরাপত্তাহীনতায় পড়েন।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে
ঘটনার পরপরই লালবাগ ও নিউ মার্কেট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বর্তমানে নিউ মার্কেট এলাকায় টহল জোরদার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের মূল কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে পুরনো কোনো বিরোধ বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট থেকে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে ডাকসু ও ছাত্রনেতারা
সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার পরপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম, অন্যান্য ছাত্রনেতাদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা উভয়পক্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনে কাজ করছেন।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন,
“ভিপি সাদিক কায়েম এসে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং সংঘর্ষ এড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।”
প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীদের বক্তব্য
ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,
“ঢাবির কিছু শিক্ষার্থী আমাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। পরে উত্তেজনা বাড়ে।”
অন্যদিকে, ঢাবির এক ছাত্র বলেন,
“আমরা হঠাৎ দেখলাম কলেজের কিছু ছাত্র আমাদের ঘিরে ফেলছে, এরপর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়।”
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা কলেজ প্রশাসন ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। উভয় প্রতিষ্ঠানই শিক্ষার্থীদের সযত্নে ও দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছে।
একাধিক সূত্র বলছে, উসকানিদাতাদের শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে।












