নিজস্ব প্রতিবেদক:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক নির্বাচনি কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২০ অক্টোবর রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে কমিশন।
ইসির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সভায় অংশ নেবেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রধান, ডিজিএফআই, এনএসআই, স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব। ইতোমধ্যে সভার কার্যপত্রও প্রস্তুত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, কার্যপত্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা ও বর্তমান প্রস্তুতির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। তবে নির্বাচনি ব্যয় নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে ইসি এবার ড্রোন ও ভোটকেন্দ্রভিত্তিক সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।
কার্যপত্রে প্রস্তাবিত ১০টি এজেন্ডার মধ্যে রয়েছে— তফসিল ঘোষণাপূর্ব ও পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা, সার্বিক আইনশৃঙ্খলার কাঠামো, বিগত নির্বাচনের মূল্যায়ন, আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সিস্টেম লিংক, এবং ভোটকেন্দ্রে উদ্ভূত সমস্যায় দ্রুত সমন্বয় নিশ্চিত করা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় যথাক্রমে ১৫ ও ১৬ জন করে নিরাপত্তা সদস্য দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এবারও সেই সংখ্যাই বহাল রাখার পক্ষে কমিশন।
কার্যপত্রে আরও বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার আগে অবৈধ অস্ত্র রোধ ও বৈধ অস্ত্র প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ থাকবে।
বিশ্লেষকদের মতে, গত ১৫ বছরের বিতর্কিত নির্বাচনি অভিজ্ঞতার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা ও মাঠপর্যায়ের মনোবল পুনরুদ্ধার বর্তমান ইসি ও অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তাই তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচন কমিশনের এই আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক প্রাক-প্রস্তুতি সভা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।











