স্টাফ রিপোর্টারঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে’র দুটি অন্যতম হল, অমর একুশে হল ও সুফিয়া কামাল হলে’র ডাকসু নির্বাচনে’র ফল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনে সাদিক কায়েম এগিয়ে রয়েছেন এবং তার বিজয়ে’র সম্ভাবনা দিন দিন শক্তিশালী হয়ে উঠছে।
অমর একুশে ও সুফিয়া কামাল হলে, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা তীব্র প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন, সেখানে সাদিক কায়েমের পক্ষে অধিকাংশ ভোট পড়েছে বলে নির্বাচনী কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। দুটি হলেই তার নিরঙ্কুশ নেতৃত্ব এবং তরুণ ভোটারের ব্যাপক সমর্থন তাকে এগিয়ে রেখেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্বাচনে’র ফলাফল নিয়ে এখন তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষত, সাদিক কায়েমে’র জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে। তিনি তার নির্বাচনী প্রচারণায় বিশেষভাবে ছাত্রদের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন, এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত ইস্যু যেমন শিক্ষা’র মান, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা, এবং ছাত্রদের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রস্তাবও তুলে ধরেছেন।
অন্যদিকে, সুফিয়া কামাল হলে’র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ফলাফল নিয়ে কিছুটা হতাশ হলেও তারা জানিয়েছে, নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করেই তারা তাদের লক্ষ্য পূর্ণ করেছেন এবং ভবিষ্যতে আরো একত্রিত হয়ে কাজ করবেন। সুফিয়া কামাল হলে’র নির্বাচনে মূলত বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলো’র মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা গেছে, তবে সাদিক কায়েম তার উদার এবং সমন্বিত প্রচারণার মাধ্যমে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভোট সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে’র অনেক শিক্ষার্থী মনে করছেন, সাদিক কায়েমে’র নেতৃত্বে ডাকসু নির্বাচনে নতুনভাবে এক তরুণ নেতৃত্বে’র উদয় ঘটতে পারে, যা আগামী দিনে ছাত্র রাজনীতি’র জন্য একটি নতুন দিশা দেখাতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও নির্বাচনে’র ফলাফলে স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “শিক্ষার্থীদে’র সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে’র পরিবেশকে শান্তিপূর্ণ ও শিক্ষামূলক রাখতে কাজ করে যাচ্ছি।”
এই ফলাফলে’র পর, সাদিক কায়েম তার সমর্থকদে’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেছেন, “এটি একটি ছাত্রদে’র জয়, এবং আমি তাদে’র জন্য কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা একসঙ্গে ক্যাম্পাসে’র উন্নয়নে কাজ করব।”
এখন, সাদিক কায়েমে’র জয় নিয়ে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা অব্যাহত থাকলেও, ভবিষ্যতে তাকে কীভাবে ছাত্রদের একতা ও সমৃদ্ধি’র দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তা দেখার জন্য সবাই অপেক্ষা করছে।












