স্টাফ রিপোর্টার | ঢাকা | শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা নতুন মোড় নিয়েছে। আসামি রেজভী আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে সালমান শাহকে হত্যার ভয়াবহ ও পরিকল্পিত ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
জবানবন্দিতে রেজভী বলেন,
“সালমান শাহর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল ডন। সালমানের স্ত্রী সামিরার সঙ্গে ডনের গোপন সম্পর্ক ছিল। সামিরার মায়ের সঙ্গে চিত্র প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়েরও সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের দ্বন্দ্ব থেকেই হত্যার পরিকল্পনা হয়।”
🔹 হত্যার পরিকল্পনা
রেজভীর দাবি,
“১৯৯৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর গুলিস্তানের এক বারে ডন, ডেভিড, ফারুক, জাভেদ ও আমি বসে পরিকল্পনা করি। সামিরার মা ও আজিজ মোহাম্মদ ভাই মিলে ডন ও ফারুককে সালমানকে হত্যার দায়িত্ব দেন। ১২ লাখ টাকার চুক্তি হয়।”
🔹 হত্যার রাতের বর্ণনা
রেজভীর জবানবন্দি অনুযায়ী,
“সেই রাতে শুটিং শেষে ডন আমাকে সালমানের বাসায় নিয়ে যায়। বাসায় পৌঁছেই সালমানকে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তখন ডন, ডেভিড, ফারুক, সামিরা ও সামিরার মা মিলে সালমানকে ক্লোফর্ম ও ইনজেকশন দিয়ে হত্যা করে। পরে দেহটিকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা হিসেবে সাজানো হয়।”
তিনি আরও বলেন,
“হত্যার পর সবাই আলাদা হয়ে যায়। পরে ডন আমাকে জানায়, ‘আজিজ মোহাম্মদ ভাই সব ঠিক করে দিয়েছে।’”
🔹 পরবর্তী পরিকল্পনা
রেজভী জানান,
“এক বছর পর ডন ও ডেভিড এসে জানায়, মামলাটা আবার নাড়া দিয়েছে। সালমানের ভাই বিল্টুকে অপহরণের পরিকল্পনাও হয়। আমাকে আলমগীর কবিরের ছেলে লেনিন সেজে সালমানের বাবার বাসায় পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু আমি ধরা পড়ি।”
রেজভীর দাবি,
“সালমান শাহ আত্মহত্যা করেননি, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।”
🔹 আরেক আসামির স্বীকারোক্তি
রেজভীর মতোই আসামি রুবীও স্বীকার করেছেন, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছিল— এটি আত্মহত্যা নয়।











