চট্টগ্রাম | শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, “এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা দেখাতে চাই— আইনের শাসন কাকে বলে।”
শনিবার সকালে চট্টগ্রামে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের নিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত কর্মশালায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, “আজকের কর্মশালা থেকে আমাদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা উঠে আসবে। আমরা সবাই সব জানি না, তাই অভিজ্ঞদের কাছ থেকে শিখছি। যেখানে ঘাটতি আছে, তা পূরণ করে নেব। দ্রুত কাজ করতে হচ্ছে, চ্যালেঞ্জও অনেক। তবে আমাদের সবাইকে মিলেই একটি সুন্দর নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা একটি ক্ষমতাসম্পন্ন প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার তৈরি করতে চাই। আপনাদের হাতে সব ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে— সেই ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার করতে হবে। ক্ষমতা প্রয়োগ না করলে সেটি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।”
সিইসি বলেন, “আইনের শাসন কাকে বলে, আমরা এই নির্বাচনের মাধ্যমে সেটা দেখাতে চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনারা আইনের মধ্যে থেকে দায়িত্ব পালন করবেন, নির্বাচন কমিশন আপনাদের পূর্ণ সমর্থন দেবে।”
তিনি জানান, কমিশনের লক্ষ্য একটি স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করা। এজন্য প্রশিক্ষিত, নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওয়ান সাইজ ফিটস অল নয়— অংশগ্রহণকারীদের পটভূমি বিবেচনায় প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি করতে হবে, যাতে নতুন কর্মকর্তারাও দায়িত্ব পালনে দক্ষ হয়ে ওঠেন।”
ভোটকেন্দ্রের দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, “প্রিজাইডিং অফিসারই হবেন কেন্দ্রের ‘চিফ ইলেকশন অফিসার’। প্রয়োজনে ভোটকেন্দ্র স্থগিত করুন, আইন প্রয়োগ করুন— তবে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সাহসের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন।”
বাংলাদেশের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নিরাপত্তা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, “প্রশাসনিক, আইনগত ও প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ থাকলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনাই সবচেয়ে কঠিন বিষয়। এজন্য প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয় জোরদার করতে হবে।”
তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে একটি ‘সেন্ট্রাল কো-অর্ডিনেশন সেল’ এবং ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স ইউনিট’ গঠন করছে, যাতে দেশের যেকোনো স্থানে দ্রুত যোগাযোগ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া তথ্য ও এআই-ভিত্তিক অপপ্রচার মোকাবিলায় কমিশন একটি বিশেষ সেল গঠন করেছে বলেও জানান সিইসি। তিনি বলেন, “সেলের কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে এখনো প্রচার বাড়ানো প্রয়োজন।”










