প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | রাজনীতি ডেস্ক
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতি বাংলাদেশের সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-এ অন্তর্ভুক্ত নয়। ফলে, এই পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের আইনি সুযোগ নেই এবং নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে প্রচলিত আইন পরিবর্তনের এখতিয়ারও নেই।
নির্বাচন কমিশনের অবস্থান পরিষ্কার
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন:
“আমাদের যে পদ্ধতি আছে, সেটা আরপিওতে বলা আছে। পিআর পদ্ধতি আরপিওতে নেই। আমরা তো আইন বদলাতে পারি না।”
তিনি আরও জানান, আরপিও পরিবর্তন করে পিআর পদ্ধতি চালু করতে হলে প্রথমে আইন বদলাতে হবে। এমনকি, কিছু ক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধনেরও প্রয়োজন হতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান
সিইসি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন:
“রাজনৈতিক দলগুলো একটা ফয়সালায় আসুক। তারা বুঝবেন— আমাদের পক্ষে সম্ভব কি না। যদি তারা পিআর পদ্ধতি চান, তাহলে বুঝতে হবে— এটা বাস্তবায়নের জন্য কী করতে হবে।”
সংবিধান পরিবর্তনের বিষয়ে সতর্ক মন্তব্য
সিইসি নাসির উদ্দিন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সংবিধান পরিবর্তনের বিষয়টি স্পর্শকাতর এবং এ নিয়ে কেউ কথা বললেই তা নিয়ে সমালোচনা হতে পারে।
পটভূমি: কী এই পিআর পদ্ধতি?
পিআর বা Proportional Representation পদ্ধতিতে রাজনৈতিক দলগুলো প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে আসন পায়। এটি প্রথম বিশ্বের অনেক দেশে ব্যবহৃত হলেও, বাংলাদেশে এখনো “প্রথম ভোটেই বিজয়ী” (First Past the Post) পদ্ধতিই প্রচলিত।
উপসংহার
সিইসি-এর বক্তব্য স্পষ্ট: বর্তমান নির্বাচনী কাঠামোর বাইরে কিছু করতে হলে সংসদীয় আইন ও সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশন শুধুমাত্র প্রচলিত আইন অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত।
সূত্র: নির্বাচন কমিশন, সংবাদ সম্মেলন
প্রতিবেদন: [SUTIA NEWS]
সম্পাদনা: [SUTIA NEWS]
ট্যাগসমূহ:
নির্বাচন, সিইসি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি, পিআর, সংবিধান, আরপিও, রাজনীতি
ক্যাটাগরি:
রাজনীতি, নির্বাচন, সংবিধান










