ময়মনসিংহ প্রতিনিধি | ৯ অক্টোবর ২০২৫
ময়মনসিংহে বিএনপির কয়েকজন ত্যাগী নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন। এদের মধ্যে গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক (২) ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সুবাহান সুলতান অন্যতম।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ময়মনসিংহ আইনজীবী সমিতি ভবনে বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল ময়মনসিংহ বার ইউনিট আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল। তিনি সুবাহানের যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
🔹 কে এই অ্যাডভোকেট সুবাহান?
অ্যাডভোকেট সুবাহান সুলতান একজন সিনিয়র আইনজীবী। তিনি গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ময়মনসিংহ জেলা উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য এবং গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক (২) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আওয়ামী বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানান সহকর্মীরা।
🔹 “জেনে-বুঝে যোগ দিয়েছি”—সুবাহান
নতুন দলে যোগদানের বিষয়ে তিনি বলেন,
“আমি অনেক চিন্তা-ভাবনা করে স্বেচ্ছায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছি। বিএনপির সব পর্যায় থেকে লিখিত ইস্তফা দিয়েছি। কোনো নেতার প্রতি বিদ্বেষ নেই। নেতা হওয়ার জন্য নয়, আদর্শে বিশ্বাস করেই জামায়াতে এসেছি।”
🔹 জামায়াতের অবস্থান
মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল বলেন,
“সুবাহান ভাই কয়েকদিন আগেই আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। আমরা তাকে বিএনপি থেকে আনুষ্ঠানিক ইস্তফা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। তিনি সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে আজ জামায়াতে যোগ দিয়েছেন।”
নেতৃত্বের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,
“জামায়াতে যোগ দিলেই নেতা হওয়া যায় না। নিয়মিত নামাজ, সিলেবাস পড়া, রিপোর্ট প্রদানসহ সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হতে হয়। যোগ্যতা অর্জন ছাড়া কেউ দায়িত্ব পান না।”
🔹 আরও আইনজীবীরাও যোগ দিয়েছেন
এই অনুষ্ঠানে আরও কয়েকজন আইনজীবী জামায়াতে যোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন:
- অ্যাডভোকেট এ.কে.এম আমানউল্লাহ বাদল
- অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম
- অ্যাডভোকেট শামিম হাসান
- অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান
- এবং অন্যান্য সিনিয়র সদস্যবৃন্দ
তাদেরকে ফুল দিয়ে বরন করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। নতুন সদস্যরা তাদের অনুভূতিতে বলেন, “আমরা ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন, আইনজীবীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং বিচারপ্রার্থীদের সেবা নিশ্চিত করতে জামায়াতে যোগ দিয়েছি।”
🔹 বিএনপির প্রতিক্রিয়া
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকন বলেন,
“বিষয়টি আমার স্পষ্ট জানা নেই। তবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তারা বিএনপিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন না। হয়তো সুবিধা না পেয়ে দল বদলেছেন।”










