তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি অবৈধ গ্যাস ব্যবহার শনাক্তকরণ ও উচ্ছেদে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নিযুক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে এবং তিতাস গ্যাসের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ করা হয়েছে।
অভিযানের পর অবৈধ গ্যাস সংযোগে জড়িত একটি দুষ্কৃতকারী চক্র নারায়ণগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ অঞ্চলে ঘাঁটি স্থাপন করেছে বলে জানা গেছে। তারা অবৈধভাবে চুনা কারখানাগুলোতে গ্যাস সংযোগ দিয়ে অর্থ উপার্জন করছে।
এই প্রেক্ষাপটে গত ২৬ অক্টোবর ময়মনসিংহের চর রঘুরামপুর থেকে নেত্রকোনাগামী ৬ ইঞ্চি ব্যাসের ১০০০ পিএসআইজি সঞ্চালন পাইপলাইনের শম্ভুগঞ্জ এলাকায় অবৈধ চুনা কারখানায় দুটি অবৈধ সার্ভিস সংযোগ স্থাপন করা হয়। এতে গ্যাস লিকেজ সৃষ্টি হলে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারা পুলিশসহ যৌথভাবে দ্রুত অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে আটক করেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। অবৈধ সংযোগ স্থাপন বা ব্যবহারের সঙ্গে জড়িত যে কারও বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে মোট ৭১ হাজার ৮০৭টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ এবং ১ লাখ ৫২ হাজার ৬৭৮টি বার্নার বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এসব অভিযানে ৩৮৯টি শিল্প, ৫২০টি বাণিজ্যিক ও ৭০ হাজার ৮৯৮টি আবাসিক সংযোগের পাশাপাশি ২৯১ দশমিক ৩ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়।










