আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল বলেছেন, দুর্বল শাসনব্যবস্থা অনেক সময় একটি দেশের সরকারের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে অনানুষ্ঠানিক উপায়ে সরকার পরিবর্তনের পেছনে এমন দুর্বল প্রশাসনিক কাঠামোর প্রভাব ছিল।
গতকাল শুক্রবার রাষ্ট্রীয় ঐক্য দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর এনডিটিভির।
অজিত দোভাল বলেন, রাষ্ট্র গঠন ও নিরাপত্তা রক্ষায় কার্যকর শাসনব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু রাষ্ট্রকে তার লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করে না, বরং সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষাও পূরণ করে।
তিনি আরও বলেন, “আজকের প্রশাসনের বড় চ্যালেঞ্জ হলো সাধারণ মানুষকে সন্তুষ্ট রাখা। মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন, উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং রাষ্ট্রের কাছ থেকে অধিক প্রত্যাশী। তাই রাষ্ট্রকেও নাগরিক সন্তুষ্টির প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।”
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, “একটি জাতির শক্তি নিহিত থাকে তার শাসনব্যবস্থায়। সরকার যখন প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে কাজ করে, তখন জাতি গঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সেই ব্যক্তিরা, যারা এসব প্রতিষ্ঠান তৈরি ও লালন করেন।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসন মডেলের প্রশংসা করে দোভাল বলেন, ভারত এখন নতুন কক্ষপথে প্রবেশ করছে—নতুন ধরনের শাসনব্যবস্থা, সমাজ কাঠামো ও বৈশ্বিক অবস্থানে। বর্তমান সরকার প্রশাসনিক দুর্নীতি দমনে যে প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন এনেছে, তা ইতিমধ্যে গভীর প্রভাব ফেলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ভালো শাসনের অংশ হিসেবে নারীর সুরক্ষা, সমতা ও ক্ষমতায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে অজিত দোভাল বলেন, “নারীর ক্ষমতায়ন আধুনিক শাসনব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ। শুধু ভালো আইন বা কাঠামো থাকলেই হবে না, এগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করাই সবচেয়ে জরুরি।”











